শনিবার, ১২ Jul ২০২৫, ১১:১৬ অপরাহ্ন
আব্দুর রহমান ঈশান- নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে বাবাকে জবাই করে হত্যার পর লাশ মাটি চাপা দেওয়ার অভিযোগে ছেলে আরমান শাহ’কে(২৩) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন ও নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই কানাই লাল চক্রবর্তী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে শনিবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকা থেকে র্যাবের সহযোগীতায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আরমান শাহ নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার বড় বেথাম গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
পুলিশ জানায়- গত ১৮ই মার্চ রাতে আরমান শাহ তার বাবা আবুল হোসেনকে(৫৫) নিজ বাসায় জবাই করে হত্যা করে। পরে বন্ধু আশিকুর রহমান আবিরকে নিয়ে লাশ লুকানোর বিষয়ে গভীর রাত পর্যন্ত পরিকল্পনা করে। দু‘জনে মিলে লাশ পুড়িয়ে ফেলা বা দূরে কোথাও নিয়ে গিয়ে ফেলে দেওয়ার কথা ভাবে। পরে লোকজন দেখে ফেলবে সেই চিন্তায় বাড়ির পাশের সাপমরা খালে কোদাল দিয়ে গর্ত করে গলা পর্যন্ত মাটির নিচে পুতে রাখে লাশ। পরে উপরের জমিতে জমে থাকা বৃষ্টির পানি খালে ছেড়ে দেওয়া হয়। যাতে করে লাশ পানিতে তলিয়ে যায়। এদিকে আবুল হোসেনকে খুঁজে না পেয়ে দুইদিন পর থানায় বিষয়টি অবহিত করেন তার ভাই হিরা মিয়া।
পুলিশ বিষয়টি আমলে নিয়ে আরমানের বন্ধু আবিরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। আবিরের দেয়া তথ্যে খালের পাড় থেকে মাটিতে পুতা অবস্থায় আবুল হেসেনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত আবুল হোসেনের স্ত্রী রুবাহার, মেয়ে চিন্তা মনি ও আবিরকে আটক করে পুলিশ। এ সময় আরমান পালিয়ে যায়। পরে নিহতের বড় ভাই বড় ভাই সোহরাব শাহ বাদী হয়ে আরমানকে প্রধান আসামি করে চারজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় রুবাহার, চিন্তা মনি ও আবিরকে গ্রেপ্তার আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারগারে পাঠান। তারা এখনো কারাগারে রয়েছেন।
র্যাব জানায়- গ্রেপ্তারের পর আরমান হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্তার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, আরমানের নামে মোহনগঞ্জ থানায় হত্যা, দস্যুতাসহ চারটি মামলা রয়েছে। এসব মামলা বিচারাধীন রয়েছে।স্থানীয়রা জানিয়েছে, আরমান এরআগেও একবার তার বাবাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহনগঞ্জ থানার এসআই কানাই লাল চক্রবর্তী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আরমানকে রোববার বিকালে আদালতে পাঠানো হবে।